১০ সেপ্টেম্বর : মরক্কোয় ভয়াবহ ভূমিকম্প। ইতিমধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন দুই হাজার মানুষ। আরো ১৪০০ মানুষ আশঙ্কাজনক। ধারণা করা হচ্ছে হতাহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। এই ভূমিকম্পের ফলে বদলে গিয়েছে সে দেশের ভৌগোলিক অবস্থান। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে বেশ কয়েক বছর লাগবে বলে অনুমান সংশ্লিষ্টদের।
শুক্রবার রাত ১১টা১৫ মিনিট নাগাদ তীব্র ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে মরক্কোর বিস্তীর্ণ অঞ্চল। আমেরিকার জিওলজিক্যাল সার্ভে জানায়, রিখটার স্কেলে কম্পনের তীব্রতা ছিল ৬.৮। কম্পনের উৎসস্থল হিসেবে চিহ্নিত করা হয়, মারাকেশ থেকে ৭৫ কিলোমিটার দূরের অ্যাটলাস পার্বত্য অঞ্চলের উকাইমেদেন স্কি রিসর্ট সংলগ্ন এলাকাকে। ভূগর্ভের ১৮.৫ কিলোমিটার গভীরতা থেকে ছড়িয়ে পড়ে কম্পন। এতটাই তীব্র ছিল ভূমিকম্প যে, পর্তুগাল এবং আলজিরিয়াতেও অনুভূত হয় কম্পন। এত তীব্র ভূমিকম্প, এত হতাহতের সাক্ষী আগে কখনও হতে হয়নি বলে দাবি সে দেশের সংবাদমাধ্যমের।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ভূমিকম্প মরক্কোর ভৌগলিক চিত্রই পুরোপুরি বদলে দিয়েছে। প্রত্যন্ত পার্বত্য অঞ্চলের মাটি বসে গিয়ে আচমকা সমতলে পরিণত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এক বা দু'জায়গায় নয়, একের পর এক পাহাড়ি গ্রাম সমতলে পরিণত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
মরক্কোর অভ্যন্তরীণ মন্ত্রক জানিয়েছে, রাজধানী রাবাত, কাসাব্লাঙ্কা, আগাদির, এসাউইরাতেও কম্পন অনুভূত হয়। সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি ঘটেছে তারৌদান্ত প্রদেশে। সেই তুলনায় মারাকেশে হতাহতের সংখ্যা কম। UNESCO হেরিটেজ হিসেবে চিহ্নিত, ঐতিহাসিক মারাকেশ শহরকে ঘিরে থাকা লাল দেওয়ালও ধূলিসাৎ হয়ে গিয়েছে। বাড়িঘর সব মিশে গিয়েছে মাটিতে। তবে শহরাঞ্চলের ক্ষয়ক্ষতি যাও বা উঠে এসেছে সংবাদমাধ্যমে, প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলির পরিস্থিতি এখনও স্পষ্ট নয়।