৩০ অক্টোবর : ত্রিপুরা প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেসের ইনচার্জ রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, "বিগত দিনে আমরা লক্ষ্য করেছি, ত্রিপুরা রাজ্যের আইন শৃঙ্খলার অবনতি হয়েছে। এই অবস্থা থেকে দাঁড়িয়ে আমরা যদি শেষ পরিসংখ্যান দেখি, তাহলে সরকারের তথ্য অনুযায়ী বিগত ২.৫ বছরে ২০০০-এর ওপর মহিলাদের ওপর অত্যাচার ঘটনা নথিভুক্ত করা হয়েছে। তার মধ্যে ৩৮১ ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। যেখানে নাবালিকাদের ওপর ধর্ষণ, মহিলাদের ওপর অত্যাচার বাড়ছে সেখানে প্রশাসন নির্বিকার। ত্রিপুরা শান্তির রাজ্য সেখানে বর্তমান শাসক দল যেভাবে অরাজকতা সৃষ্টি করে চলেছে, যেভাবে নৈরাজ্য চলছে, আইন শৃঙ্খলার অবনতি চলছে সেখানে নিশ্চিত ভাবে বিরোধী দল হিসেবে তৃণমূল কংগ্রেস চুপ করে বসে থাকতে পারেনা। এই আইন শৃঙ্খলার অবনতি যেখানে শাসক দল যুক্ত অথচ কোনো সুবিচার নেই, শাস্তি নেই, তাই ত্রিপুরা প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেস সিদ্ধান্ত নিয়েছে আগামী ১৪ নভেম্বর আগরতলা জুড়ে মহামিছিল হবে, অবরোধ করা হবে এবং রবীন্দ্র ভবনের সামনে জনসভা হবে। ত্রিপুরার জন্য তৃণমূল, 'এগিয়ে বাংলা', 'এবার এগোবে ত্রিপুরা'-আমরা এই প্রচারকে সামনে রেখে ডোর টু ডোর প্রচার শুরু করব। আগামী ১ তারিখ থেকে ৬ তারিখ রাজ্যের প্রত্যেক বিধানসভায় প্রত্যেক বাড়িতে জনমত সংগঠিত করা হবে।"
সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সভার সাংসদ সুস্মিতা দেব বলছেন, "২০১৮ যখন ভারতীয় জনতা পার্টি ত্রিপুরা রাজ্যে আসে ওরা একটা ভিশন ডকুমেন্ট দিয়েছিল সেখানে বিভিন্ন ধরনের প্রতিশ্রুতি ছিল কিন্তু বিগত সাড়ে চার বছরে ভারতীয় জনতা পার্টি ৯০ শতাংশ কাজ করতে পারেনি। প্রত্যেক প্রতিশ্রুতি যেটা পশ্চিমবাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিয়েছিলেন, প্রত্যেকটা প্রকল্প আজকে পশ্চিমবাংলায় চলছে। ত্রিপুরায় আমরা কী দেখছি মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহার পোস্টার যেখানে সুশাসনের কথা বলছে, কিসের সুশাসন? ৯ দিনের মধ্যে যেখানে ৪টে গণধর্ষণ হয়, ২ জন যুবক রেস্টুরেন্টে খেতে গেলে বেড়াবার সময় তাদের ওপর গুলি চালানো হয়।" এটা সুশাসন?