১১ জুলাই: সম্প্রতি ত্রিপুরার এইচআইভি আক্রান্তের তথ্য সামনে আসায় সোরগোল পড়ে যায় রাজ্য ছাড়িয়ে গোটা দেশে। সেই রিপোর্টে উঠে আসে শুধুমাত্র স্কুল কলেজ পড়ুয়াদের মধ্যেই গত ১৭ বছরে ৮০০ ছাড়িয়ে গেছে এইচআইভি আক্রান্তের সংখ্যা। তাদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৪৭ জন পড়ুয়ার। উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে তার সিংহভাগই ছড়িয়েছে শিরাপথে মাদক গ্রহণের জন্য। পড়ুয়াদের মধ্যে এই ধরনের নেশার বাড়বাড়ন্ত চিন্তায় ফেলেছে অভিভাবকদের।
একইভাবে চিন্তা বাড়াচ্ছে রাজ্যের পথ দুর্ঘটনার ঘটনাগুলো। কোথাও বেপরোয়া, কোথাও নেশাগ্রস্ত হয়ে যানচালনা। আবার কোথাও অন্য কোনও কারণে বেঘরে প্রাণ হারিয়েছে শয়ে শয়ে মানুষ। ২০১৭ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত গত ৭ বছরে ১৫০০ জন প্রাণ হারায়। এরমধ্যে শুধুমাত্র ২০২২ ও ২০২৩ এই পথ দুর্ঘটনার বলি হয় ৫০১ জন। ২০১৭-২০২৩ পর্যন্ত আহত হয়েছেন ৪৪৩৯ জন। এর অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পরিবারের প্রধান উপার্জক ব্যাক্তি কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেলেন। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই পরিবারগুলো এক অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে ঢলে পড়ে।
চলতি বছরের সরকারি তথ্য প্রকাশ্যে না এলেও প্রথম ছয় মাসেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বেশকিছু পথ দুর্ঘটনার খবর উঠে এসেছে। যার পরিনতি হয়েছে ভয়াবহ।প্রশাসনিক চেষ্টা সত্ত্বেও উদ্বেগজনক ভাবে পথ দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না। যা নিয়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে রাজ্যজুড়ে।