img

রোগী মৃত্যুর অভিযোগ খন্ডন করলো নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ

 

২ অক্টোবর: গত সোমবার আগরতলা দিশা নার্সিং হোম সম্পর্কে  মীরা পাল নামে এক রোগীর মৃত্যুর সাথে সম্পর্কিত ভুল বার্তা ছড়ায় বলে অভিযোগ জানিয়ে স্পষ্টীকরণ দেয় নার্সিং হোম কর্তৃপক্ষ। তাদের বক্তব্য, যে রোগীর মৃত্যু একটি সরকারী হাসপাতালে হয়, দিশা নার্সিং হোমে নয়। প্রথমে মীরা পাল সার্জনের ব্যক্তিগত ক্লিনিকে গিযেছিলেন ২১ সেপ্টেম্বর একটি অস্ত্রোপচারের জন্য তখন উনাকে দিশা নার্সিং হোমে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল এবং সার্জনের পরামর্শে পরের দিন ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ইং-এ উনাকে সরকারি হাসপাতালে রেফার করা হয়েছিল। ৭ থেকে ৮ দিন সরকারি হাসপাতালে থাকার পরে, রোগী দিশা নার্সিং হোমে নয়, সেই সরকারী হাসপাতালেই মারা যান। মৃতু সবসময় দুঃখের, মীরা পালের মৃত্যুতে আমরাও শোকাহত। কিন্তু এই শোকের আবহেও আমাদের কথাটাও সবার সামনে বলা দরকার । আজ সেই সরকারী হাসপাতাল থেকে মৃতদেহটি নিয়ে যাওয়ার সময় সেই রোগীর পরিজন তাঁর মৃতদেহটি গাড়ি থেকে নামিয়ে দিশা নার্সিং হোমের ভেতরে নিয়ে আসেন। তাঁদের একমাত্র দাবি ছিল মেডিকেল রেকর্ডের নথি তাঁদের কে দেওয়া হোক। কিন্তু মেডিকেল রেকর্ডের নথিগুলি আমাদের নিয়ম অনুসারে সাধারণ জনগণকে দেওয়া যায় না, এটি শুধুমাত্র চিফ মেডিকেল অফিসার (সিএমও), পুলিশ বা আদালত এবং আইনি শর্তাবলী এবং ধারাগুলির অধীনে উপযুক্ত ব্যক্তির আদেশে জমা দেওয়া যেতে পারে। সুতরাং, মৃতার পরিজনদের সাথে আমদের পক্ষ থেকে এই কথাটি বলা হয়েছিল যে, আমরা কেবলমাত্র প্রোটোকল অনুসরণ করে রোগীর মেডিকেল রেকর্ডের নথি দিতে পারি। তারপর তাঁরা মীরা পালের মৃতদেহ নিয়ে এসে সামনের অফিসের টেবিলের উপর রাখেন এবং আমাদের রিসেপশনিস্ট ম্যাডামকে মেডিকেল রেকর্ডস-দেওয়ার এর জন্য জোর করতে শুরু করেন, ঝগড়ার সময় আমাদের নিরাপত্তারক্ষীকে শারীরিক ভাবে আঘাতও করেন মৃতার পরিজনরা। কিছু লোক জোর করে আমাদের ইন-পেশেন্ট ওয়ার্ডে ও চলে যান যেখানে পোস্ট অপারেটিভ রোগীরা থাকেন। সেখানে নবজাতক শিশুরাও দিল তখন। মৃতার পরিজনরা সে সবের তোয়াক্কা না করে দরজায়, বিছানায়, টেবিলে, ধাক্কাধাকি ও লাখি মারতে শুরু করেন এবং চিৎকার ও করেন। এতে আমাদের কিছু সম্পদের ক্ষতি হয়েছে এবং আমাদের রোগী ও তাঁদের আত্মীয়, আমাদের স্বাস্থ্য ও প্রশাসনিক কর্মীরা ভয় পেয়ে যান, কারণ দাবি পূরণ না হলে ভয়াবহ পরিণতির হুমকিও দেওয়া হয় তখন। এই সব ঘটনা চলাকালীন আমরা কোনমতে পুলিশে খবর করি, শেষে পুলিশ এসে সব সামাল দেয় এবং পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমাদের সাহায্য করেন।উপরে বর্ণিত এই ঘটনাগুলি আমাদের সিসি টিডি রেকর্ডিংয়ে রেকর্ড হয়েছে এবং প্রমাণ হিসাবে সেই রেকডিং গুলি উপস্থাপন ও করা যেতে পারে।  তবে যদি আমরা সাধারণ জনগণের কাছ থেকে এমন আচরণের মুখোমুখি হই এবং আমরা সংবাদ মাধ্যমের মারফত ভুল তথ্য পাই তবে এটি সত্যিই আমাদের যোদ্ধাদের জন্য অপমান এবং দুঃখের। আমরা অনুরোধ করব এবং আশা রাখব আপনারা সত্যের পক্ষে থাকবেন। আজ সঠিক সময়ে পুলিশ এসে না পৌঁছুলে আমাদের স্বাস্থ্যকর্মী তথা উপস্থিত রোগী এবং তাঁদের পরিবারের লোকেদের সঙ্গে আরো খারাপ কিছু হতে পারত বলে বিবৃতিতে জানিয়েছে দিশা নার্সিং হোম কর্তৃপক্ষ।