img

পরিসংখ্যানে এগিয়ে থেকেও বঞ্চিত রাজ্যের মণিশংকর মুড়াসিং

বিশেষ প্রতিবেদন:  ২০০৯/১০ মরশুম থেকে ত্রিপুরার জার্সি গায়ে সিনিয়র ক্রিকেট দলের হয়ে যাত্রা শুরু ১৭ বছরের কিশোর মণিশংকর মুড়াসিং'র। সেই থেকে ২০২৪ পর্যন্ত টানা ১৫ বছর ধরে জাতীয়স্তরের ক্রিকেটে পারফর্ম করে যাচ্ছে। লাল কিংবা সাদা বলের রঙ যাই হোক না কেন পারফরম্যান্সের রঙ ফিকে হয়নি তার। কখনও ব্যাটে তো কখনও বলে একের পর এক প্রতিপক্ষের ঘুম কেড়ে নিয়েছেন মণিশংকর মুড়াসিং। প্রান্তিক রাজ্যের প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও নিজের পারফরমেন্সের নিরিখে ২০১৯-২০ লালা অমরনাথ পুরস্কার লাভ। যতবারই জোনাল ক্রিকেটে সুযোগ পেয়েছেন ততবারই ছাপ রেখেছেন তিনি। এরপরেও বঞ্চনার তালিকাতেই সন্তুষ্ট হতে হয়েছে ত্রিপুরার অন্যতম সেরা ক্রিকেটারকে। তার থেকে অনেক পিছিয়ে থাকা ক্রিকেটাররাও যখন দাপিয়ে আইপিএল খেলছেন, সেখানে শুধু তার হয়ে কেউ কথা বলার নেই(!) বলে প্রতিবছর বঞ্চনার শিকার হতে হচ্ছে। 
পরিসংখ্যান বলছে ভারতীয় ক্রিকেটের তারকা অলরাউন্ডার শার্দুল ঠাকুরের থেকেও জাতীয় ক্রিকেটে এগিয়ে রয়েছেন ত্রিপুরার মণিশংকর মুড়াসিং। 
 শার্দুল যেখানে ৮৮ ম্যাচে ১৫৬ ইনিংসে বল করে ২৮ গড়ে ২৭৭ উইকেট নিয়েছেন , সেখানে ৯২ ম্যাচে ১৪৯ ইনিংসে (শার্দুল থেকে কম ইনিংসে বল হাতে) ২৬.৮৭ গড়ে ৩০১ উইকেট শিকার করেন। 
মণিশংকর: ৫ উইকের বেশি পেয়েছেন ১৭ ইনিংসে, শার্দুল: ৫ উইকের বেশি পেয়েছেন ১৪ইনিংসে। 
মণিশংকর: ১০ উইকের বেশি পেয়েছেন ৩ বার । 
শার্দুল: ১০ উইকের বেশি পেয়েছেন ১ বার। 
ব্যাট হাতে মণিশংকর'র খাতায় ১৮টি অর্ধশতক এবং ৪টি শতরান সহ মোট সংগ্রহ ৩৭৯১ রান, সর্বোচ্চ ১৫০রান। শার্দুলের ক্ষেত্রে ১৩টি অর্ধশতক এবং ১টি শতকে মোট ২১১৪ রান,সর্বোচ্চ ১০৯রান। 
এরপরও ডাক মেলেনি মণিশংকর'র। ক্রিকেটপ্রেমীদের ধারণা টিসিএ কর্তারা নিজেদের প্রভাব প্রতিপত্তি বিস্তারে যতটা ততপর, তার ছিটেফোঁটাও যদি ক্রিকেট ও ক্রিকেটারদের জন্য ব্যায় করতেন তবে এতদিনে ত্রিপুরা থেকে অন্তত একজন ক্রিকেটার জাতীয় পর্যায়ে নিজের নাম লেখাতে পারতেন।