
২৩ এপ্রিল: সন্ত্রাসবাদীদের গুলিতে ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।ভয়াবহ এই হামলার কয়েক মুহুর্ত আগেও কেউ ছবি তুলছিলেন, কেউ লাঞ্চের পর নিচ্ছিলেন জিরিয়ে। কিন্তু মুহূর্তে সব শেষ। কারও হয়ত বাড়ি ফেরার কথা ছিল বুধবারই, কিন্তু একদিন আগেই সব শেষ। এরই মধ্যে কারও কারও প্রাণরক্ষা হয়েছে একচুলের জন্য।
স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে কাশ্মীর ঘুরতে আসেন আগরতলার সুপ্রিয় চক্রবর্তী। হোটেল থেকে বেরোতেই বাধে বিপত্তি। অল্পেতে প্রানে রক্ষা পায় গোটা পরিবার। ঘোড়া নিয়ে বেড়ানোর উদ্দেশ্যে দামদর করছিলেন, আচমকা ছুটাছুটি শুরু হয়ে যায়। কোনওক্রমে হোটেলে ফিরে আসতে পারলেও আতঙ্ক চোখেমুখে। ১৮ তারিখ শ্রীনগর পৌঁছে যায় তারা। ২২ ও ২৩ দুদিন পহেলগাও ঘুরে দেখার পরিকল্পনা ছিল। পেশায় ব্যাংক কর্মী সুপ্রিয় চক্রবর্তী (৫৫) চাকরি সূত্রে ওড়িশায় থাকেন। দুই কন্যাকে নিয়ে আগরতলা থাকেন তার স্ত্রী।
একইভাবে বেঁচে যান তেলিয়ামুড়ার মানিক দেবনাথ। নিজের সামাজিক মাধ্যমে নিজেই জানিয়েছেন সেই ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা।
আগরতলার চিকিৎসক অসিত দাস বন্ধুদের নিয়ে ঘুরতে যান ভু-স্বর্গে। বুধবার সকালেই মিনি সুইজারল্যান্ড পহেলগাঁওয়ে আসার পরিকল্পনা ছিল, কিন্তু মাঝপথেই উল্টোপাল্টা হয়ে যায় সবকিছু। সারাদিন শ্রীনগরের এক হোটেলেই বন্দী ছিলেন তারা।
ইতিমধ্যেই উপত্যকা ছেড়ে যেতে বলা হয়েছে পর্যটকদের। সকলেই পহেলগাঁও থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছেন। বাড়ি ফেরার অপেক্ষায় প্রত্যেকে। এখন চারিদিকে রাস্তা আটকানো। খুঁজছেন বেরনোর রাস্তা। ত্রাসের পরিবেশ থেকে কখন বেরোবেন, অপেক্ষা এখন তারই।